Bangladesh Reconditioned Vehicles Importers and Dealers Association(BARVIDA)

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বারভিডা নেতৃবৃন্দের আলোচনা

Monday, 02-December-2019
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বারভিডা নেতৃবৃন্দের আলোচনা

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খানের সাথে বারভিডা নেতৃবৃন্দ গত ২ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সভায় মিলিত হন। বারভিডা প্রেসিডেন্ট জনাব আবদুল হক, ভাইস প্রেসিডেন্ট ১ জনাব এস.এম. আনোয়ার সাদাত, ভাইস প্রেসিডেন্ট ২ জনাব মোহাঃ সাইফুল ইসলাম (সম্রাট), ভাইস প্রেসিডেন্ট ৩ জনাব মোঃ জসিম উদ্দিন মিন্টু, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এম. এ. হাসিব (হাসনু), জয়েন্ট ট্রেজারার জনাব মোঃ সাইফুল আলম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি খন্দকার আব্দুল মুমিন (পাপ্পু) এবং পাবলিকেশন এন্ড পাবলিসিটি সেক্রেটারি জনাব ফরিদ আহমেদ আলোচনায় অংশ নেন। এছাড়াও বারভিডার কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বারভিডা প্রেসিডেন্ট মাননীয় মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে, বারভিডা ৮৫০ সদস্যের একটি জাতীয়ভিত্তিক বানিজ্য সংগঠন, যার সদস্যদের এ খাতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। বিপুল কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা এবং ভ্যাট ও ট্যাক্স প্রদানের পাশাপাশি বারভিডার সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারকে প্রতিবছর প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব প্রদান করছে বলে জনাব আবদুল হক উল্লেখ করেন।

বারভিডা প্রেসিডেন্ট জানান যে, মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে বারভিডার সদস্যবৃন্দ মোটরযান আমদানি করে থাকেন। তিনি বলেন যে, বিক্রি ও বিপণনের উদ্দেশ্যে আমদানিকৃত মোটরযানগুলি বন্দর থেকে নিয়ে আসা, পরীক্ষামূলক চালানো (Test drive), ক্রেতাকে প্রদর্শন, স্টোর/ইয়ার্ডে সংরক্ষণ ও বিক্রয়কেন্দ্রে আনা-নেয়া এবং সর্বোপরি রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিআরটিএতে উপস্থিত করার লক্ষ্যে (রেজিস্ট্রেশন সম্পাদনের আগে) এসব গাড়িকে রাস্তায় চলাচল করতে হয়। রেজিস্ট্রেশন পূর্ব সময়কালে রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রে বৈধ গ্যারেজ নম্বরসহ গাড়িতে আমদানিকারক কর্তৃক ইস্যুকৃত মুভমেন্ট রেজিস্টার সংরক্ষিত থাকে। তবুও প্রায়ই দেখা যাচ্ছে যে, পুলিশ/ ট্রাফিক পুলিশ বাহিনীর সদস্যবৃন্দ ট্রেড সার্টিফিকেট (গ্যারেজ নম্বর) সম্বলিত গাড়িগুলো আটক করছেন এবং জরিমানা আদায় করছেন বলে জনাব আবদুল হক জানান। তিনি বলেন যে, গাড়িগুলোর স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করায় ব্যবসায়ী/ আমদানিকারকগণ হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাদের স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং জরিমানা আরোপের ফলে ব্যবসায়ীদের অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে। এটি সরকার ঘোষিত অবাধ বাণিজ্য নীতির পরিপন্থী এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাস্বরূপ বলে বারভিডা প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন।

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বারভিডা নেতৃবৃন্দের আলোচনা

এছাড়াও বারভিডা প্রেসিডেন্ট নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে ব্যবসা সহায়ক পার্কিং ব্যবস্থার প্রতি মাননীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন। তিনি বলেন যে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং বিপনী বিতানগুলোর আশেপাশে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য এতদিন যেসব স্থান নির্দিষ্ট ছিল নতুন মোটরযান আইন বাস্তবায়নের প্রাক্কালে সেসব স্থানে ইদানিং পার্কিং বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, বা ‘নো পার্কিং’ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা না থাকায় সম্মানিত ক্রেতাগণ গাড়ির শোরুমগুলোতে আসতে অনীহা প্রকাশ করছেন। ফলে ব্যবসায়ীরা ক্রেতা হারাচ্ছেন এবং ব্যবসায় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

  • মাননীয় মন্ত্রী বারভিডা নেতৃবৃন্দের বক্তব্য গুরুত্ব দিয়ে শোনেন। আমদানিকৃত মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের পূর্বে রাস্তায় চলাচলের বিষয়ে সহায়তা করতে তিনি তাৎক্ষনিকভাবে হাইওয়ে পুলিশ বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত মহা - পুলিশ পরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করেন এবং বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে পরদিনই (৩ ডিসেম্বর ২০১৯) তাঁর সাথে বারভিডা নেতৃবৃন্দের আলোচনার ব্যবস্থা করে দেন।
  • পার্কিং সমস্যার বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী বলেন যে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পার্কিং স্থান নির্দিষ্ট করে দেয়ার লক্ষ্যে ১০০ সদস্য বিশিষ্ট একটি টাস্কফোর্সের কাজ শিগগির শুরু হচ্ছে।
  • ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সমস্যা নিরসনে মাননীয় মন্ত্রী তার পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। সভায় বারভিডা নেতৃবৃন্দ মাননীয় মন্ত্রীকে বারভিডার ক্রেস্ট উপহার দেন।

Call Message Test Drive Direction
Loading...
Contact